জকিগঞ্জ প্রতিনিধি
সিলেটের জকিগঞ্জের বারঠাকুরী ইউপি ছাত্রদলের মতবিনিময় সভা শেষে জাফর আহমদ (২২) নামের এক সমন্বয়ককে ও তার ভাই শাকিল আহমদ (১৯) কে মারধর করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে ছাত্রদলের একটি পক্ষের নেতাকর্মীরা।
শনিবার সন্ধ্যা রাতে উপজেলার সোনাসার বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরে আহত জাফর আহমদ জকিগঞ্জে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার বাদী। গত ৭ সেপ্টেম্বর তিনি একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। ওই মামলায় আওয়ামী লীগ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী, আল ইসলাহ নেতাকর্মী, নিরীহ মানুষসহ ১০৭ জনের নাম উল্লেখ করে ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করেন।
স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বারঠাকুরী ইউনিয়ন ছাত্রদলের আগামীর নেতৃত্ব ও সাংগঠনিক কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে শনিবার বিকেলে সোনাসার বাজারের একটি কমিউনিটি সেন্টারে মতবিনিময় সভা আহবান করেন উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কামরুল ইসলাম ও সদস্য সচিব রায়হান আহমদ। ওই সভা শেষে কোন্দলের জেরে সমন্বয়ক জাফর আহমদ ও তার ছোট ভাই শাকিল আহমদকে ছাত্রদলের একটি অংশের নেতাকর্মীরা পিটিয়ে আহত করেন। পরে অন্য কর্মীরা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
ছাত্রদলের একটি পক্ষের অভিযোগ জাফর আহমদ ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত আছেন। গত আগস্ট মাসে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে তিনি নিজেকে সমন্বয়ক দাবী করেন এবং গণআন্দোলন চলাকালে জকিগঞ্জে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার বাদি হওয়ার পর থেকে দলে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেন। শনিবারও ছাত্রদলের মতবিনিময় সভায় জাফর আহমদ ও তার ভাই শাকিল আহমদ উপস্থিত হয়ে প্রভাব বিস্তার করতে চাইলে ছাত্রদলের একটি পক্ষের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। ওই জের ধরে সভা শেষে মারধরের ঘটনা ঘটে। এতে জাফর, তার ছোটভাই শাকিলসহ আরও দুজন চারজন আহন হন বলে জানা গেছে।
জকিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কামরুল ইসলাম বলেন, বারঠাকুরী ইউপি ছাত্রদলের কমিটি নেই। সংগঠনকে চাঙা করতে কর্মী সভার আয়োজন করা হয়েছিল। কর্মী সভা সন্ধ্যার আগেই শেষ হয়েছে। কর্মী সভা শেষে বাড়ি ফেরার পরে দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে বলে শুনেছি। বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে কথা বলতে রোববার সকাল থেকে জাফর আহমদের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ প্রসঙ্গে জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস. এম মাহমুদ হাসান রিপন বলেন, এ ঘটনায় কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পাওয়া গেলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।