মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
বাংলাদেশ চা বোর্ডের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল শেখ মো: সরওয়ার হোসেন এসইউপি, এনডিসি, পিএসসি বলেছেন, চা এর গুণগত মান বাড়াতে পারলে দাম অবশ্যই পাওয়া যাবে। লোকজন ভাল চা এর সাথে খারাপ চা মিশ্রণ করে বাজারে বিক্রি করছে। যার কারণে কাঙ্ক্ষিত দাম পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, মানুষ যখন বেশি টাকা দিয়ে একটা জিনিস কিনতে যাবে তখন ভালোটাই কিনবে। তাই ভাল চা করতে পারলে দাম অবশ্যই পাওয়া যাবে।
রবিবার মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলস্থ বাংলাদেশ চা গবেষণা কেন্দ্রের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিট এর আয়োজনে প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিট এর হলরুমে ৪র্থবারের মতো ৫দিন ব্যাপী ‘টি টেস্টিং এন্ড কোয়ালিটি কন্ট্রোল’ প্রশিক্ষণ কোর্স এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ চা প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের পরিচালক ড. রফিকুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ চা বোর্ড এর যুগ্মসচিব ইয়াছমিন পারভীন তিরবীজি, বাংলাদেশ চা গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ ইসমাইল হোসেন, বাংলাদেশীয় চা সংসদ সিলেট ব্রাঞ্চের চেয়ারম্যান ও ফিনলে চা কোম্পানীর ভাড়াউড়া ডিভিশনের সহ-ব্যবস্থাপক জি এম শিবলী।
চা বোর্ডের চেয়ারম্যান আরও বলেন, ন্যাশনাল চা কোম্পানীর বাগানে উৎপাদন বন্ধের ব্যাপারে তিনি বলেন, ওই চা বাগান (এনটিসি) সরাসরি টি বোর্ডের অধীনে নয়। এব্যাপারে মন্ত্রণালয়-এনটিসি আলাদা মিটিং হচ্ছে কিভাবে এই রুগ্নদশা থেকে উৎপাদনে ফিরিয়ে আনা যায়। এখানে শুধু বাগানেই পাতা নষ্ট হচ্ছে সেটা না, অনেক চা পাতা গুদামে আছে সেটাও একটা ইস্যু। অনেক শ্রমিক রয়েছে যারা কাজ করতে পারছে না এবং অনেক পাতা বাগানে পড়ে আছে সেগুলো উৎপাদন করতে পারছে না।
এর আগে চেয়ারম্যান বিটিআরআই এর ভ্যালু অ্যাডেড চা প্রদর্শন ঘুরে দেখেন। এখানে ১২ রকমের কোয়ালিটি চা প্রদর্শন করা হয়। এগুলো হলো প্রিমিয়াম ব্লাক টি, অর্থডক্স টি, অলং টি, গ্রীন টি, হোয়াইট টি, ইম্পেরিয়াল জেসমিন টি, মাশালা টি, এলোভেরা এন্ড পাইনএ্যাপল টি, মর্নিং টি, চিনা লিচি টি, তুলশি টি, চামমিল টি।
এদিকে ৫দিন ব্যাপী এই ‘টি টেস্টিং এন্ড কোয়ালিটি কন্ট্রোল’ প্রশিক্ষণ কর্মশালা উদ্ভোধনী দিনে দেশের ৮০ থেকে ৯০টি চা বাগানের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।