নবীগঞ্জে এক গৃহবধুকে অপহরনে ব্যর্থ হয়ে হত্যার চেষ্টা, ডেগারসহ পুলিশে সোর্পদ

4
নবীগঞ্জ প্রতিনিধি, গবিগঞ্জ: নবীগঞ্জ শহরের ওসমানী রোডস্থ কনর মিয়া ফার্মেসীর সামনে থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে এক গৃহবধুকে অপহরনের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে হাতে থাকা ডেগার দিয়ে প্রাণে হত্যার চেষ্টা কালে স্থানীয় জনতার হাতে ধরাশায়ী হয় দুরুদ মিয়া নামে এক যুবক। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল গেলে আটককৃত দুরুদকে পুলিশের কাছে সোর্পদ করেন জনতা। আটককৃত দুরুদ উপজেলার ছোট সাকুয়া গ্রামের জিতু মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, উপজেলার করগাওঁ ইউনিয়নের ছোট সাকুয়া গ্রামের জিতু মিয়ার ছেলে দুরুদ মিয়া কয়েক বছর আগে বিয়ে করেন নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের কানাইপুর গ্রামের আয়াত আলীর মেয়ে জাইরুন বেগমকে। তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে জাইরুন বেগম বছর খানেক পুর্বে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে দুরুদ মিয়াকে তালাক প্রদান করে। এক পর্যায়ে উভয়ের পরিবার ও মুরুব্বীয়ান কাজীর মাধ্যমে তালাক রেজিষ্ট্রার সম্পন্ন করেন। কিছু দিন যেতে না যেতেই উক্ত দুরুদ তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী জাইরুন বেগমকে নেয়ার জন্য ব্যর্থ চেষ্টা করে। জাইরুন তার সংসারে ফিরে যেতে না চাইলে দুরুদ মিয়া অনাগত হুমকী দিয়ে আসছেন জাইরুন পরিবারকে।
এ ব্যাপারে দুরুদ মিয়ার আত্মীয় স্বজনসহ স্থানীয় মুরুব্বীয়ান একাধিক শালিস করে দুরুদ মিয়াকে জাইরুনের পরিবারকে হুমকী প্রদান থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার রাতে জাইরুনের বাড়ী কানাইপুর গ্রামে গিয়ে উক্ত দুরুদ মিয়া বিভিন্ন রখম ভয়ভীতি প্রর্দশন ও প্রাণনাশের হুমকী প্রদান করে। শুক্রবার সন্ধ্যায় জাইরুন বেগমের বোন সুহেনা বেগম, খালেদা বেগম ওসমানী রোডস্থ ডাঃ আব্দুস সামাদের এখানে চিকিৎসা শেষে রিক্সার জন্য রাস্তায় দাড়ানো অবস্থায় হঠাৎ একটি মিশুক গাড়ী নিয়ে দুরুদ মিয়া ও অজ্ঞাতনামা ২/১ জন মিলে সুহেনা বেগমকে অপহরণ করার চেষ্টা কালে সুহেনা বেগম চিৎকার শুরু করেন। এ সময় দুরুদ মিয়া তার কোমড়ে থাকা ডেগার বের করে সুহেনা বেগম ও তার খোলে থাকা শিশু কন্যাকে হত্যার চেষ্টাকালে স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে। এক পর্যায়ে কবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছলে ডেগারসহ তাকে পুলিশের হাতে সোর্পদ করা হয়েছে। এ ঘটনায় জাইরুন বেগমের পরিবার চরম নিরাপত্তহীনতাসহ উৎকন্ঠা ও আতংকের মাঝে দিন কাটাচ্ছেন।