শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের দুই পক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

44

শাবিপ্রবি প্রতিনিধি: সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, দেশীয় অস্ত্রের মহড়া ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে ছাত্রলীগের দুই কর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

আজ শুক্রবার শাখা ছাত্রলীগের সাবেক পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক মো. খলিলুর রহমান ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ছাত্রলীগের সহসভাপতি মামুন শাহর অনুসারীদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন ‍নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০২২-২৩ সেশনের আরিফ ও পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের ছাত্র আশফাকুর। আহতরা সিলেট এমএ জি ওসমানী মেডিকেলে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

শাখা ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, ২০২১-২২ ব্যাচের নামকরণ নিয়ে ওই ব্যাচের ম্যাসেঞ্জর গ্রুপে পরিসংখ্যানের বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সামজিক বিজ্ঞান অনুষদের সহসভাপতি মামুন শাহর সমর্থক তানভীর ইশতিয়াক অযাচিত মন্তব্য করেন।

পরবর্তী সময়ে আজ বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ইশতিয়াককে শাহপরাণ হলে ডাকেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের একই ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক খলিলুর রহমানের সমর্থক শান্ত তারা আদনান। মীমাংসার জন্য বসলে ওই হলের অতিথি কক্ষে মামুন শাহর সমর্থক ও ইংরেজী বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের তৈমুর সালেহীন তাউসের সঙ্গে খলিলুর ও সজীবুর রহমানের পক্ষের সিনিয়রদের তর্কাতর্কি হয়।
পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে খলিলুর রহমানসহ কয়েকটি পক্ষের সমর্থকরা গেলে মামুন শাহর সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। উভয়পক্ষের মধ্য ইটপাটকেল ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে দেখা যায়। এ সময় পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে মামুন শাহর দুই সমর্থক আহত হন।
এ বিষয়ে মামুন শাহর সমর্থক তানভীর ইশতিয়াক বলেন, ‘ব্যাচের নামকরণ পছন্দ না হওয়াতে আমি কথা বলেছিলাম। পরে শান্ত তারা আদনান আমাকে শাহপরাণ হলে ডেকে নিয়ে শাসাইছে ও সিনিয়রদেরকে নিয়ে আমাকে মারতে গেছিল। পরে আমি আমার পক্ষের ভাইদের জানাই। তারা আমাকে সেখান থেকে নিয়ে গেছে। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু হলের সামনে গিয়েও আদনানরা ঝামেলা করেছে।’
এ বিষয়ে খলিলুর রহমানের সমর্থক শান্ত তারা আদনান বলেন, ‘ব্যাচের নামকরণ নিয়ে ঝামেলা হওয়াতে মীমাংসার উদ্দেশ্যে বসা হয়। সেখানে সেটা মীমাংসাও হয়। কিন্তু পরে ইশতিয়াক তার পক্ষের সমর্থকদের নিয়ে ঝামেলা বাধায়। সংঘর্ষের সময় আমার হাতে কোনো অস্ত্র-শস্ত্র ছিল না।’
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা খলিলুর রহমান বলেন, ‘২০ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নামকরণ নিয়ে ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে ঝামেলা হয়। পরবর্তীতে তারা মীমাংসার বসেছিল। পরে ওদের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। এরপর সংঘর্ষ বাধে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও ছাত্রলীগের সিনিয়ররা গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।’
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা মামুন শাহর মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
শাবিপ্রবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘একটা ব্যাচের নামকরণ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে। এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’