ছাতক উপজেলা নির্বাচন সম্পদ বেশী রেজা’র ও আয় বেশী কিরনের

25

বিজয় রায়, ছাতক: উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ছাতকে প্রতিদ্ব›িদ্ব ৫ প্রার্থীর মধ্যে সম্পদ বেশী আওলাদ আলী রেজার এবং আয় বেশী রফিকুল ইসলাম কিরনের। এ দু’ প্রার্থীর মধ্যে উল্লেখ করার মতো বেশ সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য লক্ষ করা গেছে। বৈসাদৃশ্য হলো আওলাদ আলী রেজা ও রফিকুল ইসলাম কিরণ সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা। উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে আওলাদ আলী রেজা ২য় বার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এবং রফিকুল ইসলাম কিরণ এ বছরই প্রথম প্রার্থী হয়েছেন। সাদৃশ্য হলো উভয় প্রার্থীর বাড়িই একই গ্রামে। হলফনামা অনুযায়ী তারা দু’জনই স্ব-শিক্ষিত। এরা উভয়ই যুক্তরাজ্য প্রবাসী। এদিকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিকারী ৫ জন প্রার্থীর মধ্যেই ৪ জনই প্রবাসী বলে জানা গেছে।

অন্যান্য প্রার্থী থেকে সম্পদ এবং আয় কম বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আবু সাদাত লাহিনের। হলফনামা অনুযায়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলাম কিরনের ব্যবসা থেকে আয় ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ রয়েছে প্রায় পৌন ২ কোটি টাকার। এর মধ্যে নগদ ১ লাখ টাকা, স্ত্রীর নামে রয়েছে ৫০ হাজার টাকা, ব্যবসায়ী পুজিঁ সাড়ে ৫ লাখ টাকা, প্রায় সাড়ে ৮৪ লাখ টাকা মূল্যের অকৃষি ভুমি, ৬৪ লক্ষ টাকা মূল্যের দোতলা বিল্ডিং, ৭ লাখ টাকা মূল্যের একটি টিন শেডের ঘর, প্রায় সাড়ে ৯ লাখ টাকা মূল্যের একটি জীপ গাড়ী এবং ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা মূল্যের আসবাবপত্র সহ অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক মালামাল। রফিকুল ইসলাম কিরণ উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের সুহিতপুর গ্রামের এবং অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সুন্দর আলীর পুত্র। আওলাদ আলী বেজা ব্যবসা থেকে আয় দেখিয়েছেন ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ ২ লাখ ৮০ হাজার ও ব্যাংকে রয়েছে ৫ লাখ টাকা। কৃষি জমি রয়েছে ১০ বিঘা অর্থাৎ ৩ একর ৩০ শতক, অকৃষি ৩০ শতক, ৪ তলা বিশিষ্ট মার্কেট, বাড়ি ৭০ শতক এবং ৬ শতকের উপর রয়েছে দ্বিতল ভবন। আওলাদ আলী রেজা উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের সুহিতপুর গ্রামের মৃত ইলিয়াছ আলীর পুত্র ও গোবিন্দগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের সাবেক ভিপি। রানিং পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এবং বর্তমান চেয়ারম্যান প্রার্থী স্নাতক ডিগ্রিধারী আবু সাদাত লাহিনের আয় ৪ লাখ ৩১ হাজার টাকা। এর মধ্যে ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে সম্মানী ভাতা বাবত ৩ লাখ ৯৬ হাজার টাকা, কৃষি থেকে ২৫ হাজার ও অন্যান্য খাত থেকে ২০ হাজার টাকা। স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ ২ লাখ টাকা, ৫০ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার ব্যবসায়ী পুজিঁ ৮ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।

তিনি উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের চৌকা গ্রামের আব্দুল গনির পুত্র। বিগত নির্বাচনের তথ্য বিবরণী অনুযায়ী লাহিনের সম্পদ বেড়েছে ১৩ লাখ ৩১ হাজার টাকার। চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহমুদ আলী আয় দেখিয়েছেন ৩ লাখ টাকা। যা তিনি প্রবাস থেকে উপার্জন করে থাকেন। তিনিও স্নাতক ডিগ্রিধারী। তিনি জাউয়াবাজার ইউনিয়নের খিদ্রাকপন গ্রামের উকিল আলীর পুত্র ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী বলে জানা গেছে। তার রয়েছে নগদ ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা, ৫ লাখ টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার এবং দেড় লাখ টাকা মূল্যের আসবাবপত্র। আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী আমজাদ আলী জাউয়াবাজার ইউনিয়নের খিদ্রাকাপন গ্রামের মৃত ওয়াসিব আলীর পুত্র ও কানাডা প্রবাসী বলে জানা গেছে। হলফনামায় তিনি আয় দেখিয়েছেন ৪ লাখ ২২ হাজার ৫০০ টাকা। এর মধ্যে ভাড়া সহ অন্যন্য খাতে আয় দেখিয়েছেন ৩ লাখ ৬৭ হাজার ৫০০ টাকা এবং কৃষি খাত থেকে ৫৫ হাজার টাকা। তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে, নগদ ২১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ১০ লাখ টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার, ১০ লাখ ৫৬ হাজার টাকা মূল্যের অকৃষি জমি, প্রায় ৪৪ লাখ ৬২ হাজার টাকা মূল্যের উত্তরাধিকার সম্পদ এবং ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা মূল্যের আসবাবপত্র সহ ইলেক্ট্রনিক মালামাল।