কুলাউড়ায় গ্রীণ হাউজে সবজি চাষে স্বাবলম্বী কৃষক ফরিদ আলী

24
oplus_0

নাজমুল ইসলাম, কুলাউড়া
কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁওয়ের গ্রীণ হাউজের মাধ্যমে রকমারী সবজি চাষ করে সফল হয়ে উঠেছেন কৃষক ফরিদ আলী। শীত কিংবা গ্রীষ্ম শরৎ বা হেমন্ত বার মাসেই তার জমিতে সবজি ফলন হচ্ছে দেধারছে। প্রতি মাসে তিনি শুধু সবজি বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করে যাচ্ছেন। উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের বৈধ্যশাসন গ্রামে নিজে প্রায় ৩ একর জমিতে গড়ে তুলেছেন নানা জাতের সবজি চাষের ভান্ডার।
এক সময় এসব জমিতে তিনি শুধু ধান চাষ করলেও ধীরে ধীরে সবজি চাষে মনযোগী হয়ে উঠেন এবং তাতে সাফল্য পেয়ে যান তিনি।
বর্তমানে তার কৃষি জমিতে ধান চাষ বাদ দিয়ে বার মাস রকমারি সবজি চাষ চলছে। তার এই সবজি চাষে আগ্রহ দেখে কৃষি মন্ত্রণালয় প্রায় ৫ মাস আগে ২২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তার জমিতে একটি গ্রীণ হাউজ তৈরি করে দেয় যা স্থানীয়ভাবে পলি হাউজও বলা হয়ে থাকে। আর এই গ্রীণ হাউজরে মাধ্যমে কৃতিমভাবে পানির ফুয়ারা দিয়ে কুয়াশা তৈরি করে কৃষক ফরিদ আলী শীতকালীন সকল সবজি সহজেই চাষ করতে পারছেন। তিনি এই গ্রীষ্মকালে শীতকালীন সবজি চাষ করে দ্বিগুন দামে বিক্রি করে ব্যাপক লাভবান হচ্ছেন।
কৃষি কাজে ফরিদ আলীর এই সাফল্যর খবর পেয়ে সরেজমিন তার কৃষি জমিতে গেলে তিনি জানান, একসময় এসব জমিতে তার বাবা ধান চাষ করতেন এবং মাঝে মাঝে শীতকালে সবজি চাষও করতেন। কিন্তু ধান চাষ করে তেমন লাভবান হচ্ছিলেন না। এক পর্যায়ে ফরিদ আলী তিনি সিদ্ধান্ত নেন নিজে এসব জমিতে শুধু রকমারী সবজি চাষ করবেন। এরপর তিনি গত ২২ বছর থেকে এসব জমিতে শুধু সবজি চাষ করে যাচ্ছেন। তিনি আরও জানান, সবজি চাষে তার সাফল্যে সরকার কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে প্রায় ৫ মাস আগে ২২ লক্ষ টাকা ব্যয় তার জমিতে একটি গ্রীণ হাউজ তৈরি করে দেয় যা স্থানীয়ভাবে পলি হাউজও বলা হয়ে থাকে। এরপর থেকে তিনি প্রতি মাসে সবজি বিক্রি করে কয়েক লক্ষ টাকা আয় করে যাচ্ছেন।
প্রতিদিন সকালে তার জমি থেকে এক পিকআপ গাড়ী রকমারী সবজি শহরে বিক্রির জন্য যায়।
এব্যাপারে কুলাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন জানান, কৃষক ফরিদ আলীর সাফল্যে তারা উপজেলার মধ্যে একমাত্র তাকে ২২ লক্ষ টাকা ব্যয় পলি সেইড (গ্রীণ হাউজ) নির্মাণ করে দিয়েছেন। তার এই সেইড ঘরে টমেটো, পিয়াজসহ অন্যন্যা শীতকালীন সবজি এই গ্রীষ্মকালে চাষ করতে পারবে।
তার এই সবজি চাষে স্থানীয়দের চাহিদা মিটিয়ে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে বেশ কদর রয়েছে। আগামীতে কম বাজেটে প্রজেক্ট তৈরি করে উন্নত জাতের মসলা প্রযুক্তির একটি পলি সেইডও কুলাউড়ায় দেওয়া হবে।