সবুজ সিলেট ডেস্ক
সাগরে ডুবতে থাকা একটি জাহাজ থেকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোনে করেন একজন নাবিক। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে ১১ জন নাবিককে জীবিত উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড।
বুধবার সকালে নোয়াখালীর হাতিয়া উপকূল থেকে সাত নটিক্যাল মাইল দূরে ভাসানচরের নিকটবর্তী বঙ্গোপসাগর ও মেঘনা নদীর মোহনাস্থলে এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বুধবার সকাল সাড়ে দশটায় একজন কলার ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ এ এক কলার ফোন করেন। ফোনে জানানো হয়, নোয়াখালীর হাতিয়া উপকূল থেকে সাত নটিক্যাল মাইল দূরে ভাসানচরের নিকটবর্তী বঙ্গোপসাগর ও মেঘনা নদীর মোহনাস্থলে তাদের ‘আল নুর ২’ নামের জাহাজটির তলা ফেটে পানি ঢুকে পড়ছে এবং জাহাজটি ডুবে যেতে শুরু করেছে। জাহাজে তারা ১১ জন নাবিক আছেন।
আরও জানানে হয়, জাহাজটি নিয়ে তারা চট্টগ্রাম থেকে যশোরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। তাদের জীবন বাঁচানোর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ৯৯৯ এর কাছে অনুরোধ জানান।
৯৯৯ থেকে তাৎক্ষণিক বিষয়টি ভাসানচর পুলিশ ফাঁড়িকে জানায়। তারা (ফাঁড়ি) তথ্যটি চট্টগ্রাম নৌ পুলিশ এবং কোস্টগার্ডের হাতিয়া অঞ্চলকে জানায়। এরপর শুরু হয় উদ্ধার তৎপরতা। কিন্তু সাগরে উদ্ধার তৎপরতা চালানোর মতো নৌযান নৌ-পুলিশের নেই। খবর পেয়ে হাতিয়া কোস্টগার্ডের একটি দল দুর্ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দেয়।
হাতিয়া কোস্টগার্ডের লে. কমান্ডার আতিক জানান, সাগর এবং নদী উত্তাল থাকায় তাদের দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। কিন্তু তারা শেষ পর্যন্ত দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে ১১ জন নাবিককে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন। ইতিমধ্যে জাহাজটি সাগরে ডুবে গেছে।