ভাটারায় সংবাদকর্মীকে প্রাণ-নাশের হুমকী

1

রিয়াজুল ইসলাম চৌধুরী: রাজধানীর ভাটারায় আখি আক্তার ওরফে আকলিমা রাহাত খান নামের এক সংবাদকর্মীকে প্রাণ-নাশের হুমকি দেয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঐ সংবাদকর্মী আখি স্বনামধন্য পোর্টাল আইনিউজ.ওআরজি এর কর্মরত। গত ১৩ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) আখির মোবাইল ফোনে তাকে হুমকি দেয়। হুমকিদাতা হল, মাগুড়া জেলার শালিখা থানার ছান্দরা গ্রামের মৃত ফেজু বিশ্বাস এর ছেলে আবু তালেব বিশ্বাস (৫০)। সে পেশায় একজন ব্রোকার (দালাল)। সে বর্তমানে ভাটারার সাঈদনগর এলাকায় বসবাস করেন। ভুক্তভোগী সংবাদকর্মীর বক্তব্য থেকে জানা যায়, আখি খান সাংবাদিকতা পেশার পাশাপাশি আমি মামুন এন্টারপ্রাইজ নামে একটি সিকিউরিটি সার্ভিস নামক প্রতিষ্ঠানের মালিকও। তিনি উক্ত সিকিউরিটি কোম্পানীর মাধ্যমে আমি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সিকিউরিটি গার্ড নিয়োগ দিয়ে থাকেন।

যেহেতু তার কোম্পানী সিকিউরিটি গার্ড নিয়োগ দিচ্ছে, সেহেতু তাদের বেতনের টাকা আমার প্রতিষ্ঠানেই প্রেরণ করা হয়। অভিযুক্ত আবু তালেবে এর মাধ্যমে সংবাদকর্মী আখি খান কিছু সিকিউিরিটি গার্ড নিয়োগ দিলে তারা কাজ না করে চলে যায়। বিবাদী আবু তালেবের মতে তাহার মাধ্যম দিয়ে নিয়োগকৃত লোকের বেতন কেনো তাকে দেওয়া হয়না? এই বিষয় নিয়ে তিনি আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে থাকে। জন সম্মুখে তিনি বলেন, আমি লোকবল নিয়োগ দিয়ে তাদের থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছ আর আমার লোকদের বেতন দেওনা কেন। সে আরো বলে, আওয়ামী লীগ-বিএনপির বিভিন্ন নেতাকর্মী ও আমার ভাই পুলিশের দারোগা, ওসি, ডিসিসহ সব আছে। আমার ভাইপো ওসি, তিনটা দারোগা ভাইপো আরো অনেকেই আমার পরিচিত ও সব আমার ডান হাত বাম হাত। আমার মামু আর্মির মেজর, তাদেরতো আর টাকা দিয়ে কিনতে হবে না। আবু তালেব তাদের দিয়ে সংবাদকর্মী আখি খানকে আমাকে দেখে নেবেন বলে হুমকি দেন। আবু তালেবের এমন একটি ভয়েস রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

এই ব্যাপারে আখি বারাবারি না করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করলে আবু তালেব তাকে অকথ্যা ভাষায় গালাগালসহ প্রাণ-নাশের হুমকী প্রদান করেন। জিডিতে আরো উল্লেখ করেন, যেহেতু তিনি সংবাদিকতা পেশায় জড়িত থাকায় তাকে বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়ে। তাই আবু তালেবের এমন কর্মকান্ডের জন্য আখি খান নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন। এ বিষয়ে হামলাকারী যেন কঠিন শাস্তি পায় তিনি সে দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে আবু তালেবের মুঠোফোনে কল দিলে সে ফোন রিসিভ করেননি। এ বিষয়ে ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে থানায় কেহ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।