বরিস করোনায় মারা গেলে কী হবে ভেবে রেখেছিল যুক্তরাজ্য

15

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
কিছুদিন আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তবে অনেকের চেয়েই তার কপাল ভালো, মৃত্যুর দুয়ার থেকে শেষ পর্যন্ত ফিরতে পেরেছেন তিনি। কিন্তু সেটি না পারলে কী হতো? ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, তেমন কিছু হলে করণীয় কী হবে, তা ভেবে রেখেছিল কর্তৃপক্ষ।

রোববার ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য সানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বরিস জনসন জানিয়েছেন করোনাযুদ্ধে তার সেই দুঃসহ অভিজ্ঞতার কথা। তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে আমাকে লিটারের পর লিটার অক্সিজেন দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছিল। অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে কি না তা বুঝতে সারা শরীরে তার জড়িয়ে মনিটরের সঙ্গে লাগানো ছিল।’

বরিস বলেন, ‘অস্বীকার করবো না, এটা খুবই কঠিন সময় ছিল।’ এসময় বারবার নিজেকে জিজ্ঞেস করেছেন, ‘আমি কীভাবে এ থেকে বেরিয়ে আসব?’

গত ২৬ মার্চ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে, অবস্থার অবনতি হলে ১০ দিন পর তাকে লন্ডনের সেন্ট থমাস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একদিন পরেই আইসিইউতে নিতে হয় এ নেতাকে।

তিনি বলেন, ‘এটা বিশ্বাস করা কঠিন ছিল যে, মাত্র কয়েকদিনেই আমার শরীর এতটা ভেঙে পড়েছিল। যদি খারাপ কিছু ঘটে তার জন্য চিকিৎসকরা সব ধরনের ব্যবস্থা করে রেখেছিলেন।’

বরিস জনসনের মতে, তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন মূলত ‘চমৎকার, চমৎকার সেবার কারণে।’ এর জন্য চিকিৎসক-নার্সদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।

সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছাড়ার সপ্তাহখানেক পরেই পুত্র সন্তানের বাবা হয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। তার সেবা করা দুই চিকিৎসকের প্রতি সম্মান জানাতে তাদের নামের সঙ্গে মিল রেখে ছেলের নাম রেখেছেন উইলফ্রেড লরি নিকোলাস জনসন।

শুধু তাই নয়, নিজে করোনায়ে ভোগার কারণে এর কষ্টও বুঝতে পারছেন বরিস জনসন। জানিয়েছেন, আর কাউকে যেন এই দুর্ভোগ পোহাতে না হয় এবং নিজ দেশের অর্থনীতিকে পুনর্জীবিত করতে এখন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তিনি।

সূত্র: বিবিসি