সিলেটে হালকা বাতাসেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা অন্ধকার

18

স্টাফ রিপোর্টার
পুরো সিলেট জেলায় বিদ্যুৎভোগান্তি অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। হালকা বাতাস দিলেই নগরসহ সিলেটের বিভিন্ন স্থানে লাইন ছিঁড়ে অথবা খুঁটি ভেঙে চলে যায় বিদ্যুৎ, মানুষকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটাতে হয় অন্ধকারে। ভোগান্তিতে পড়া লোকজন সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ বিভাগের কার্যালয়ে কল করলে বেশিরভাগ সময়ই কেউ রিসিভ করেন না। আর যদি করেনও তবে আওড়ান পুরনো বুলি- ‘অমুক-তমুক স্থানে অত কেভি লাইন ছিঁড়ে গেছে, ঠিক করতে দেরি হবে’ ইত্যাদি। বিদ্যুৎবিভাগের কর্মকর্তাদের খামখেয়ালিতে মেরামত কাজে হয় বিলম্ব, মানুষকে পোহাতে হয় চরম ভোগান্তি।

অভিযোগ রয়েছে, যে লাইনগুলো মেরামতযোগ্য তা ঠিক সময়কালে মেরামত না এবং মানহীন কাজের কারণে সামান্য বাতাসেই বিদ্যুতের লাইন ছিঁড়ে যায় কিংবা খুঁটি পড়ে যায়।

জানা গেছে, সিলেটের দক্ষিণ সুরমা, ওসমানীনগর ও বালাগঞ্জ এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার (৫ মে) ঠিক ইফতারের সময় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়। এসময় চলে যায় ওই এলাকার বিদ্যুৎ। আর বিদ্যুৎ আসে পরদিন (আজ- বুধবার) বিকেল ৩টার দিকে- অর্থাৎ ২০ ঘণ্টা পর। গতকাল রাত ৯টার দিকে পল্লী বিদ্যুতের ওসমানীনগর (কাশিকাপন) জোনাল অফিসের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. ফয়জুল্লাহকে ফোন দিলে তিনি বলেন, ৩৩ কেভি লাইন ছিড়ে গেছে। মেরামত করতে কয়েকঘণ্টা সময় লাগবে, তবে রাতেই বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।

কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিদ্যুতের ছেড়া লাইনে রাতে কোনো কাজই করা হয়নি। বুধবার দিনের বেলা কাজ করে বিকেল ৩ টার দিকে এ অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে। মধ্যখানে ২০ ঘণ্টা বিদ্যুতহীন অবস্থায় ভোগান্তি পোহান দক্ষিণ সুরমা, ওসমানীনগর ও বালাগঞ্জের মানুষ।

এছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলার মানুষের অভিযোগ- বিদ্যুৎ সমস্যা হলে সংশ্লিষ্ট অফিসে জানালেও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন না কর্মকর্তারা। বিদ্যুত অভিযোগ কেন্দ্রে বার বার ফোন করেও মিলে না কোনো প্রতিকার।

গত কয়েক সপ্তাহ থেকেই সিলেট নগরী, শহরতলি এলাকা, দক্ষিণ সুরমা, ওসমানীনগর, বালাগঞ্জ ও বিশ্বনাথ এলাকায় এমন ভয়াবহ বিদ্যুৎবিভ্রাট ঘটছে বলে জানা গেছে।